বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

‪#‎ পদ্মা‬নদীর মাঝি (Padma Nadir Majhi) Important Information 4 “মাথার ভাগ দিবান আইঠা কলা দিব, দেইখো।”- মালা, কুবেরকে। “জীবন তাহাকে অলস করিয়া বিষণ্ন করিয়াছে। ভাই বোনদের কাছে পাইয়া কতকাল পরে যে মুখ তাহার বিষণ্নতার ছায়া লেকাহীন হাসি ফুটিল।"- মালার। “ঘরের লক্ষ্মী যেন চলিয়া গেছে কপিলার সঙ্গে পরিপূর্ণভাবে ক্ষুধার নিবৃত্তি আর হইতেছে না।"- ঘরের লক্ষ্মী কপিলা। “পাপ মাইখা মরিস কেনে কপিলা? মাইনসে কইব কি ? যা বাড়ি যা।” -কুবের, কপিলাকে। “দুষ্ট কইরে। মাঝি শাইপো- কিন্তু এই কথাডা কইও দিদিরে। মাথা খাও মাঝি কইও।”- কপিলার উক্তি। “একটু জিরাইগো আজান খুড়া"- কবেরের উক্তি। ঈশ্বর থাকেন ঐ গ্রামে, ভদ্রপল্লীতে, এইখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না। -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খেদোক্তি। “সাঁঝের দরটা জিগা দেখি কুবের" - ধনঞ্জয়ের উক্তি। “মনে মনে সকলেই যাহা জানে মুখ ফুটিয়া তাহা বলিবার অধিকার তাহার নাই।" - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বঞ্চিতদের সম্পর্কে। “একখানা গীত ক দেখি কুবির।"- গণেশের মিনতি। “শ্যাষ রাইতে তর বৌর ছাওয়াল হইছে কুবির।"-নকুলের উক্তি। “চুপ যা গণেশ। পোলা দিয়ে করম কি? নিজেগোর খাওনা জোটেনা পোলা!" -কুবেরের উক্তি। পোলা হইব কই নাই কুবির ? কইনাই এইবার তোর পোলা না হইয়া যায় না?- গণেশের কথা। “ক্যান কমু জ্যাঠা? বজ্জাতটা আমারে যা মুখে লয় কয়না?" -নকুল সম্পর্কে, গোপী। তোমাগো দেইখা মুখে রাও সরে না, কতকাল পরে ফিরে আলাম।"- রাসু, কুবেরকে। “গরীব বইলা চাল কর্জ না দেওনের মত গরীব আমি না, জাইনা থুইস।”- গণেশকে, কুবের। “তা শুইনা তোর কাম কি ? মাইয়া লোক চুপ মাইরা থাক।" -মালাকে, কুবের। মনের ক্রিয়াগুলি তার অত্যন্ত শ্লথ গতিতে সম্পন্ন হয়। সে কোন কথা বলিলে লোকে যে তাহাকে অবহেলা করিয়াই কথা কানে তোরে না এটুকুও সে বুঝিতে পারে না।- গণেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে। “জলে-স্থলে মানুষের অবিরাম জীবন প্রবাহ।"- পদ্মার ঘাট সম্পর্কে। “যে যাহারে ভালবাসে সে তাহারে পায় না।"- গণেশের গানের কথা। নাই কিরে নাই ? রোজ আমারে মাছ দেওনের কথা না তর? -শীতল, কুবেরকে । “কতটি মাছ হইল আজান খুড়া ? শ‘চারের কম না অ্যা? -কুবেরের উক্তি। “তিনডা মাছ আইজ তুই দে কুবের। অমন করস ক্যান?" পয়সা নয় কয়ডা বেশিই লইস, আই ?- কুবেরকে, শীতল ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন